শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
এম,এ,মতিন-
সিলেট জেলার এগারোটি থানায় স্থাপিত হয়েছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জীবানুনাশক ট্যানেল। সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম নিজস্ব তহবিল থেকে থানা গুলোতে জীবানুনাশক ট্যানেল স্থাপনের উদ্যোগ নেন। জানা যায়, সিলেট জেলায় যেসকল থানায় জীবানু নাশক টানেল স্থাপন করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে,গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ,বিয়ানীবাজার, বালাগঞ্জ, ওসমানী নগর,বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ, ও ফেন্সুগঞ্জ থান।
ট্যানেলের ভেতরে দিনের একটি বড় সময় ধরে জীবানুনাশক ক্যামিক্যাল স্পে করা হচ্ছে। থানা গুলোতে যাতায়াতকারী সেবা গ্রহীতারা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ মূলক টানেল স্থাপনের ফলে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। পাশাপাশি দিবারাত্রি দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যরা থানায় প্রবেশের সময় জীবাণু মুক্ত হয়ে প্রবেশ করছেন। সূত্র জানায়,
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন(পিপিএম) প্রতিটি থানায় সেবা গ্রহনকারী আগুন্তকঃ ব্যাক্তি ও কর্মসম্পাদন করে থানায় প্রবেশকারী পুলিশ সদস্যদের জীবাণু মুক্ত করতে নিজস্ব তহবিল থেকে সিলেট জেলা পুলিশের আওতাধীন প্রতিটি থানায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জীবানুনাশক ট্যানেল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহন করেন। এসপি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের উদ্যোগ ও দিক নির্দেশনায় সিলেটের ১১ টি থানায়
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্থাপিত হল জীবানুনাশক ট্যানেল। এখন থেকে থানায় জরুরী প্রয়োজনে যাতায়াতকারী মানুষজন প্রবেশ অথবা বাহির হওয়ার সময় প্রত্যেকেই নিজেদের পুরো শরীর জীবানুমুক্ত করে যেতে পারবেন।ট্যানেল স্থাপনে তত্ত্বাবধানে থাকা সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ লুৎফুর রহমান জানান- সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে এ টানেলের ভেতরে চিকিৎসকদের পরামর্শমত ডিটার্জেন্ট মিশ্রিত পানি উপর, নিচ ডাইনে বায়ে সব দিকথেকেই স্প্রে করা হচ্ছে। ফলে যে কোন ব্যক্তি এখান থেকে জীবানুমুক্ত হতে পারছেন। এ জীবানুমুক্ত করণ ট্যানেল সাধারণ জনগণকে জীবানুমুক্ত করতে ও থাকতে উৎসাহিত করছে। এব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদ বলেন, সিলেটের পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় ও নেতৃত্বে করোনা পরিস্থিতিতে জেলা পুলিশ জনগণের পাশে রয়েছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশের প্রত্যেক সদস্য জনগণের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। জনগণের কল্যাণের পাশাপাশি প্রতিটি মুহূর্তে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের সুখে, দুঃখে অংশীদার হচ্ছেন মান্যবর পুলিশ সুপার মহোদয়।
গোয়াইনঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সিলেটের পুলিশ সুপার মহোদয় জেলার এগারোটি থানা পুলিশের সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তিনি থানা গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন -সি জাতীয় খাবার ও ঔষধ সরবরাহ করছেন। মান্যবর পুলিশ সুপার মহোদয়ের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় সিলেট জেলা পুলিশ করোনা ভাইরাসের প্রদূর্ভাবকালীণ সময়ে জনগণের পাশে অঙ্গাঙ্গী ভাবে দাঁড়িয়েছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা পুলিশের সামগ্রিক গৃহিত কার্যক্রমের বিষয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম বলেন, জনসচেতনতাই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের একমাত্র হাতিয়ার। এরই প্রেক্ষিতে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জীবানু নাশক স্প্রে ছিটানো কার্যক্রমসহ জেলার ১১ টি থানায়
;জীবানুনাশক ট্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। যাতে থানায় সেবা নিতে আসা আগুন্তকঃ ব্যাক্তিবর্গ ও কর্তব্য শেষে থানায় প্রবেশকারী প্রত্যেক পুলিশ সদস্য জীবাণু মুক্ত হয়ে প্রবেশ ও বাহির হতে পারেন।