শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
অনাহারে অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। করোনা সন্দেহ করে কেউ তার কাছে যাননি। পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। খবর যায় সিলেটের কোম্পানীঞ্জের ইউএনও সুমন আচার্য ও ওসি সজল কুমার কানুর কাছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ। কাজের সন্ধানে বহু মানুষ যায় কোম্পানীগঞ্জে। পাথর কোয়ারি বন্ধ।
কাজকর্ম নেই। শ্রমিকরা পড়েছেন বেশি বেকায়দায়। সরকারের তরফ থেকে প্রতিদিনই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেগুলো পর্যাপ্ত নয়। অনেক মানুষ অভুক্ত দিন কাটাচ্ছে।
ওয়াহেদ আলী। পঞ্চাশোর্ধ এক মাটি কাটার শ্রমিক। বাড়ি কিশোরগঞ্জে অষ্টগ্রামে। প্রায় তিন মাস আগে তিনি কোম্পানীগঞ্জে আসেন। টুকেরবাজারের একটি কলোনিতে বসবাস করেন। বৃহস্পতিবার রাতে টুকের বাজারের পাশে বঙ্গবন্ধু সড়কে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। অনেকেই দেখছেন তাকে। কিন্তু করোনা ভেবে কেউ তার পাশে যায় না। অবশেষে স্থানীয় সূত্রে খবর পান কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও ও ওসি। ঘটনাস্থলে পুলিশ দল নিয়ে ছুটে যান ওসি সজল কানু। পুলিশ তাকে ভ্যানে তুলে নিয়ে আসে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল খালিক ওয়াহেদের শাররীক পরীক্ষা করেন। তিনি নিশ্চিত হন- ওয়াহেদ আলী ফিজিক্যাল উইকনেস’র কারণে সেন্সলেস হন। এ সময় হাসপাতালে তাকে খাবার দেওয়া হয়। চেতনা ফিরে এলে ওয়াহেদ আলী জানান, তিনি মাটি কাটার শ্রমিক। করোনার কারণে কর্মহীন। বেশ কদিন ধরে খাদ্য সংকটে ভুগছেন। তার পরিবারের সবাই থাকেন কিশোরগঞ্জে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সজল কুমার কানু জানিয়েছেন- ওয়াহেদ আলী দিনমজুরের কাজ করেন। সে দীর্ঘক্ষণ মহাসড়কের পাশে পড়ে থাকলেও ভয়ে কেউ কাছে আসেনি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে, মেয়ের জামাতা স্বপন আহমেদের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। এখন তিনি সুস্থ আছেন।